সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

 

📢📢ক্রেতার করণীয় জমি ক্রয়ের পূর্বে যে সকল বিষয় যাচাই করতে হবে📢

১। জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাৎ খতিয়ান ও নকশা যাচাই করতে হবে।
২। জমির তফসিল অর্থাৎ জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর উক্ত দাগে জমির মোট পরিমাণ জানতে হবে।
৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস পর্চা দেখতে হবে।
৪। বিক্রেতা ক্রয়সূত্রে ভূমির মালিক হয়ে থাকলে তার ক্রয় দলিল বা ভায়া দলিল রেকর্ডের সঙ্গে মিল করে বিক্রেতার মালিকানা নিশ্চিত হতে হবে।
৫। বিক্রেতা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হলে সর্বশেষ জরিপের খতিয়ান বিক্রেতা বা তিনি যাঁর মাধ্যমে প্রাপ্ত তাঁর নামে অস্তিত্ব (যোগসূত্র) মিলিয়ে দেখতে হবে।
৬। জরিপ চলমান এলাকায় বিক্রেতার কাছে রক্ষিত মাঠ পর্চা যাচাই করে দেখতে হবে।
৭। বিক্রেতার কাছ থেকে সংগৃহীত দলিল সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস/জেলা রেজিস্ট্রার রেকর্ড রুম হতে যাচাই করে দেখতে হবে।
৮। খতিয়ান/পর্চা/মৌজা ম্যাপ/খাজনার রশিদ ইত্যাদি কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস/উপজেলা ভূমি অফিস/জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুম হতে যাচাই করে দেখতে হবে।
৯। হাল সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ আছে কি না।
১০। প্রস্তাবিত সম্পত্তির দখল বিক্রেতার আছে কি না। সম্পত্তিতে বিক্রেতার দখল না থাকলে সে জমি ক্রয় করা ঠিক হবে না।
১১। ওয়ারিশি জমি কিনতে চাইলে, ঐ সম্পত্তিতে মোট কতজন ওয়ারিশ আছে তা খোজ নিয়ে দেখুন। আপনি যে ওয়ারিশের নিকট থেকে কিনবেন, তার ততটুকু বিক্রয়ের অধিকার আছে কিনা যাচাই করুন।
১২। সম্পত্তিটি খাস কিংবা সরকারী কি না যাচাই করুন। সরকারী বা খাস সম্পত্তি বিধিবহির্ভূত ভাবে ক্রয়-বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৩। অন্য কোন পক্ষের সাথে বিক্রয় চুক্তি বা বায়না পত্র রেজিস্ট্রি করা আছে কি না তা যাচাই করুন। সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ৫৩বি ধারা অনুযায়ী, বায়নাপত্র বা বিক্রয়চুক্তি (contract for sale) বলবৎ থাকাকালে, বায়নাপত্রের অধীন কোন স্থাবর সম্পত্তি, উক্ত চুক্তি আইনানুগভাবে বাতিল না করে, বায়নাপত্র গ্রহীতা ব্যতীত, অন্য কোন পক্ষের নিকট হস্তান্তর করা যাবে না, অন্য কোন ভাবে হস্তান্তর করা হলে তা অবৈধ হবে।
১৪। ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্টানের নিকট দায়বদ্ধ কি না তা যাচাই করুন। কারন সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ৫৩ডি ধারা মোতাবেক, বন্ধক-গ্রহীতার লিখিত সম্মতি ব্যতীত কোন নিবন্ধিত বন্ধকী স্থাবর সম্পত্তি পুনঃবন্ধক বা বিক্রয় করা যায় না, এতৎসত্ত্বেও কোন পুনঃবন্ধক বা বিক্রয় করা হলে তা অবৈধ হবে।
১৫। জমি বিক্রয়ের জন্য অ্যাটর্নি নিয়োগ করা আছে কি-না তা যাচাই করুন। অ্যাটর্নি নিয়োগ করা থাকলে অ্যাটর্নি ছাড়া মূল মালিকের সম্পাদন গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্য বিধি মোতাবেক পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল বাতিল করে মূল মালিকের সম্পাদনে দলিল রেজিস্ট্রি করা যাবে।
১৬। ওয়াকফ সম্পত্তি কিনা দেখুন। ওয়াকফ আইন অনুসারে, ওয়াকফ প্রশাসন বা সরকারের পূর্ব অনুমতি ব্যতীত ওয়াকফ সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করা যায় না।
১৭। জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলছে কিনা যাচাই করুন। মামলাভুক্ত জমি কেনা উচিত নয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

♥নগর বাউল জেমস্ (গুরু)-র সকল গানের তালিকা James All Songs List

 ♥নগর বাউল জেমস্ (গুরু)-র সকল গানের তালিকা:   প্রথম অ্যালবাম: স্টেশন রোড  ১. স্টেশন রোড  ২. ঝর্না থেকে নদী  ৩. একদিন ছিল উচ্ছ্বল নদী  ৪. আমায় যেতে দাও  ৫. আগের জনমে  ৬. আর নয় যুদ্ধ  ৭. যদি এমন হতো  ৮. সত্যের সুন্দর  ৯. দুঃখ কেন করো   দ্বিতীয় অ্যালবাম: অনন্যা  ১.রিকশাওয়ালা  ২. ফেরারি  ৩. দুরন্ত মেয়ে  ৪. অনন্যা  ৫. রংবাজ  ৬. রাজনীতি  ৭. পলাতক  ৮. রাতের ট্রেন  ৯. হৃদয়ের দাবিতে  ১০. টেলিফোন  ১১. তুমি জান   তৃতীয় অ্যালবাম: জেল থেকে বলছি  ১. জেল থেকে বলছি  ২. নীল আকাশ  ৩. ইচ্ছের পালক  ৪. ভাবনা  ৫. জোসি প্রেম  ৬. আমার ভালবাসা  ৭. হৃদয়ের একলা প্রান্তরে  ৮. পেশাদার খুনি  ৯. ঝড়ের রাতে  ১০. ঢাকার প্রেম  ১১. তোমাকে খুঁজি  ১২. প্রাণের শহর   চতুর্থ অ্যালবাম: পালাবে কোথায়  ১. পালাবে কোথায়  ২. প্রিয় আকাশি  ৩. নাযায়েজ  ৪. পূর্ণিমা নৃত্য  ৫. হেরেমের বন্দিনী  ৬....
  জিনিসপত্রের দাম কেনো বাড়ছে জানতে চান? আসুন একটু জেনে নেয়া যাক....মুদ্রাস্ফীতির সাথে খেলাপী ঋণ ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। প্রথেমেই বুঝতে হবে মুদ্রাস্ফীতি জিনিস টা আসলে কি? খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। মুদ্রাস্ফীতিঃ কোন দেশে সর্বোপরি যতটুকু সম্পদ আছে তার মূল্য ওই দেশের বর্তমানের মোট মুদ্রামাণের(টাকা) সমান। মনে করুন, বাংলাদেশে সর্বমোট ১৫ টাকা আছে এবং এই দেশের সম্পদ বলতে সাকুল্যে আছে ৫ টি কমলা। আর কিছুই নেই। যেহেতু দেশের মোট সম্পদের মূল্য মোট মুদ্রামানের সমান, সেহেতু এই ৫ টি কমলার মূল্য ১৫ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি কমলার মূল্য ৩ টাকা। এখন যদি আরো ৫ টাকা ছাপানো হয়, তাহলে মোট মুদ্রামান হয়ে যাবে ১৫+৫ = ২০ টাকা। কমলা কিন্তু বাড়েনি। তারমানে এখন[নতুন করে ৫ টাকা ছাপানোর পর] ৫ টি কমলার মোট মূল্য হয়ে গেল ২০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি কমলার বর্তমান মূল্য ৪ টাকা। এই যে সম্পদ না বাড়িয়ে অতিরিক্ত টাকা ছাপানোর ফলে কমলার দাম ৩ টাকা থেকে ৪ টাকা হয়ে গেল, এইটাই সহজ ভাষায় "মুদ্রাস্ফীতি"। একই পণ্য আগের থেকে বেশি দামে ক্রয় করা মানেই মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। অর্থাৎ, আমরা বলতে পারি "কোন দেশের সম্পদের পরিমাণ ...

বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত.pdf

বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত.pdf To download this pdf simply follow instructions if not then use vpn to open MediaFire. Some isp just blocked this website mistakenly. Author: Jsny