সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

 গল্প টা পুরো পরলে ইনশাআল্লাহ ভালো লাগবে আপনার

🥰
গল্পের ভিতর বাস্তবের অনেক টা মিল আছে 🙂
গল্প : স্বামীর অবহেলা ভালো বাসা 💔
রাতে ঘুমানোর সময় আমার স্ত্রী যখন আমার বুকের উপর এসে শুয়ে পড়লো তখন আমি বেশ বিরক্তি নিয়ে ওকে বললাম
স্বামী --" সারাদিন কাজ করে রাতে তোমার জন্য একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারি না।
স্ত্রী --" তুমি তো জানো আমি তোমার বুকে ছাড়া ঘুমাতে পারি না।
স্বামী --" এমন নেকামো না করলেও তো পারো! তোমার জন্য কোনো কাজে শান্তি নেই আমার।
স্ত্রী --" ভালো তবুও আমি তোমার বুকেই ঘুমাবো৷
স্বামী --" তুমি মরে গিয়েও তো আমাকে মুক্তি দিতে পারো? রোজ রোজ এমন অশান্তি আমার আর সহ্য হয় না৷ এমন একটা বস্তা গায়ের উপর থাকলে কি কেউ ঘুমাতে পারে?
স্ত্রী --" আমি তো শুধু রাতের বেলাতেই বুকে ঘুমাই আর তো কখনো জ্বালাতন করি না।
স্বামী --" তোমার মতো নির্লজ্জ মেয়ে আমি আর একটাও দেখিনি।
স্ত্রী --" আমার মাথা ব্যাথা করছে একটু হাত বুলিয়ে দেও।
কথাটা বলে আমার হাতটা নিয়ে ওর কপালের উপর রাখলো। হাজারবার বলার পরও এমনকি গায়ে হাত তুলেও ওর এই স্বভাব পরিবর্তন করতে পারিনি৷ আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন স্ত্রী বুকের উপর ঘুমালে আমি এতো বিরক্ত কেন হই! আসলে ওকে আমার এখন আর ভালো লাগে না। আমার অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশন আছে। কিন্তু কিছুতেই সাথীকে বলতে পারি না। সাথী আমার স্ত্রী এর নাম। এমন বেহায়া মেয়ে আমি খুব কম দেখেছি। ওর জন্য রাতে মেঘলার সাথে তেমন কথা বলতে পারি না। ঘুমাতে এলেই আমাকে ধরে রাখে।
গায়ের সাথে মনে হয় খুব গরম কিছু লেগে আছে মনে হচ্ছে। সাথীর কপালে হাত রেখে বুঝতে পারলাম ওর গা অস্বাভাবিক ভাবে গরম হয়তো জ্বর এসেছে। শীতের রাতে গরম কিছু কার না ভালো লাগে। আমি হাতটা ওর কপালের সাথে চেপে ধরে রাখলাম। ওর কিছুটা কষ্ট কমবে এই জন্য নয় বরং এতো সময় কম্বলের বাইরে রাখা হাতটা নিমেষেই গরম হবে সেই আশায়।
সকাল ১০ ঘুম ভেঙে দেখলাম সাথী আমার বুকের ওপরই ঘুমিয়ে আছে। গায়ে হাত দিয়ে বুঝলাম গা রাতের থেকে অনেক বেশি গরম হয়ে আছে। কয়েকবার ডাক দিলাম কিন্তু কোনো সাড়া দিলো না। ওকে বুকের ওপর থেকে সরাতে গেলে খেয়াল করলাম আমায় বেশ শক্ত করেই ধরে আছে৷ তবুও ফ্রেশ হতে চলে গেলাম৷ কিন্তু সাথীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে তাই ওকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম।
ডাক্তার বললো ;- ওর অবস্থা অনেক বেশি খারাপ এখনই আইসিইউতে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু আমি ওর জন্য এতো টাকা নষ্ট করতে পারবো না তাই সাধারণ মহিলা ওয়াডে ভর্তি করে দিয়ে এলাম৷
অফিসে এসে মেঘলার সাথে গল্প জুড়ে দিলাম। মেয়েটা আমাকে ছাড়া কিছু বুঝতে চায় না৷ মেঘলা আমার অফিসের কলিগ। ওর হাসি মুখটা যে কোনো পুরুষকে নিজের কাছে টানতে বাধ্য। তাই আমিও ওর কাছে চলে এসেছি।
সারাদিন বেশ ভালো কেটে গেলো। সন্ধ্যা বেলা বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম। না আজ আর এই টেবিলে আমার পছন্দের কিছু রান্না করা নেই। সাথী রোজ সন্ধ্যা হলে আমার পছন্দের হালকা খাবার বানিয়ে দিতো। তারপর নিজের হাতে খাইয়েও দিতো। মেঘলার সাথে রিলেশনে যাওয়ার পর একদিন বলেছিলাম তোমার আমাকে খাইয়ে দিতে হবেনা। নাকি বিষ মিশিয়ে এইভাবে খাওয়াতে আসো? তারপর থেকে আর কখনো খাইয়ে দিতে দেয়নি। রান্না করে টেবিলে গুছিয়ে রাখতো।
আজ সাথী নেই তাই কেউ কিছু বানিয়ে রাখেনি। খাটে গিয়ে শুয়ে মেঘলার সাথে কথা বলতে লাগলাম। কিন্তু এখন ওর সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে না। সারাদিন সাথীর কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি। আচ্ছা ওর কি জ্ঞান ফিরেছে? নাকি ও আর নেই। না না আমি এইসব কি ভাবছি। আর ও মরে গেলেই তো আমার আর মেঘলার জন্য ভালো হয়। কিন্তু মনকে কিছুতেই শান্ত করতে পারছি না। সাথে পেটও বুঝিয়ে দিচ্ছে তার খাবার চাই। কিন্তু এখন বাইরে যেতে ইচ্ছা করছে না। আন মনে বলে উঠলাম
--" সাথী আজ কি রাতে না খাইয়ে রাখবে নাকি? তুমি আসলেই কোনো কাজের না। দুপুরের টিফিনটাও দেও নি আজ।
হঠাৎ খেয়াল আসলো সাথী হাসপাতালে ভর্তি। মেয়েটার আর কোনো খোঁজ কেন নিলাম না। সকালে একবার যেতে হবে হাসপাতালে দেখি কেমন আছে! এখন ঘুমিয়ে পড়ি।
কিন্তু শুয়ে কোনো শান্তি পাচ্ছি না। কিছুতেই ঘুম আসছে না। আজ সাথী নেই বলে কি এমন হচ্ছে। হয়তো বুকের ওপর কেউ না থাকলে ঘুম আসবে না। অভ্যাসটা খারাপ হয়ে গেছে। রাত যতো বাড়ছে সাথীর কথা ততো বেশি মনে পড়ছে সাথে ক্ষুধাটাও বেড়ে চলছে। কিছু সময় এপাশ ওপাশ করলাম কিন্তু ঘুমাতে পারলাম না। উঠে গিয়ে ফ্রিজ খুলে খাবার আছে কিনা দেখতে গেলাম। গিয়ে দেখলাম দুইটা চিংড়ি মাছ আর কাল রাতের তরকারি রাখা সাথে ভাতও আছে৷ খাবার গুলো নিয়ে টেবিলে খেতে বসলাম। হঠাৎ মনে হলো সাথী কাল রাতে খাইনি। আমি ওকে চারটা মাছ রান্না করতে
দেখেছিলাম। ভালোই হয়েছে এখন আমি খেতে পারবো। কিন্তু গলা দিয়ে নামছে না। আগে চিংড়ি মাছ রান্না হলে সাথী আমার পাশে এসে বসে থাকতো আর ম্যাও ম্যাও করে ডাকতো। মানে তাকে খাইয়ে দিতে হবে। চিংড়ি মাছ ওর সব থেকে পছন্দের খাবার৷
খাবার গুলো রেখে ঘরে চলে এলাম৷ হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার বুকের উপর এসে শুয়ে পড়ছে৷ কিন্তু না কেউ নেই। সাথীকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। ফোনটা বের করলাম কিন্তু এতে সাথীর কোনো ছবি নেই। মেঘলা সব ডিলেট করে দিয়ে ছিলো।
কিছু ভালো লাগছে না তার গাড়ি নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিলাম। ওকে দেখে আসবো বলে৷ কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারলাম এতো রাতে মহিলা ওয়াডে কোনো ছেলেকে ঢুকতে দিবে না। কিছু করার নেই বলে ডাক্তারের কাছে ওর খোঁজ নিতে গেলাম।
--" সকালে যে মেয়েটাকে ভর্তি করানো হয়ে ছিলো তার কি অবস্থা?
--"ওনার অবস্থা খুব খারাপ। শরীর কোনো রেসপন্স করছে না। স্যালাইনও টানতে পারছে না শরীর। আইসিইউতে না রাখলে যে কোনো সময়ে খারাপ কিছু হতে পারে।
--" তাহলে আইসিইউতে রাখার ব্যবস্হা করুন।
--" সরি স্যার এখন আইসিইউতে কোনো সিট খালি নেই৷ আপনাকে অন্য কোথাও দেখতে হবে৷ একটা সিট খালি ছিলো যা সন্ধ্যায় বুক হয়ে গেছে।
ডাক্তারকে কিছু না বলে চলে এলাম সেখান থেকে শহরের আর কোনো ভালো হাসপাতাল নেই৷ বাইরে নিতে গেলে এখন অনেক সময় লাগবে। আর অনেক টাকা খরচ হবে। বাড়ি ফিরে চলে এলাম।
কিন্তু বাড়ি ফিরলে সাথীকে বেশি মনে পড়তে থাকলো। মেঘলার জন্মদিনের সময় আমার কাছে টাকা ছিলো না৷ অনেক চিন্তায় ছিলাম তখন সাথী ওর গলার চেন আর নগদ দশহাজার টাকা দিয়ে বলেছিলো
- আমার কাছে এতো টাকা নেই। তোমার তো বিশ হাজার টাকা লাগবে। এতে হয়তো হয়ে যাবে। তুমি চিন্তা করো না।
ওর দিকে এক পলক তাকিয়ে ছিলাম। ও মুচকি হেসে বলেছিলো তুমি চিন্তায় থাকলে আমার কষ্ট হয় অনেক আমার এইগুলো লাগবে না তুমি নিয়ে নেও। চেনটা ওর মায়ের দেওয়া বলে ওটা আর বিক্রি করিনি। মেঘলাকে দিয়ে দিয়ে ছিলাম। চোখের কোণে মনে হলো পানি জমে যাচ্ছে। আজ অনেকদিন পর সাথীর সাথে কাটানো সকল মুহুর্ত মনে পড়ছে। আমাদের ভালোবাসার তো কোনো কমতি ছিলো না। তাহলে কেন এতো দূরত্ব তৈরি হলো আমাদের ভিতর?
সাথী আমাকে নিজের সবটা দিয়ে আগলে রেখেছিলো তাহলে আমি কেন সাথীকে কষ্ট দিলাম।
অফিস থেকে ফিরতে সাথী আমাকে রোজ জড়িয়ে ধরতো। একদিন ওকে বললাম ছেলেদের শরীর লাগলে ব্যবসা করো কিন্তু আমাকে এতো বিরক্ত করবে না। সেদিনের পর থেকে সাথী আর আমাকে জড়িয়ে ধরতো না। শুধু রাতে আমার বুকে ঘুমানোটাই পরিবর্তন করতে পারিনি কোনো কিছু বলে। ওর নাকি আমার বুকে না ঘুমালে ঘুম আসে না। আমিও ওকে একসময় বলতাম তুমি আমার বুকে না ঘুমালে আমার ঘুম আসে না। আজ বুঝতে পারছি কথাটা আমি মিথ্যা বলতাম না। রাত তিনটা বেজে গেলো এখনো আমি ঘুমাতে পারিনি।
সকাল হতেই হাসপাতালে চলে গেলাম। আজ সাথী কে আইসিইউতে রাখবো এখানে না হলেও অন্য কোথাও। সাথী কে ছাড়া আমি এক রাতও থাকতে পারি না। আমার সব করা কাজের জন্য মাফ চাইবো। আর কষ্ট দিবো না ওকে।
হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারলাম কাল রাতে একটা মেয়ে মারা গেছে। না এটা সাথী হতে পারে না। সাথী আমাকে কথা দিয়েছিলো আমাকে রেখে যাবে না। আমাকে ছাড়া ও থাকতে পারে না। সাথী নিশ্চয়ই ওর কথা রাখবে। কিন্তু আমাকে ভুল প্রমাণ করে দিলো সাথীর প্রাণহীন দেহটা।
কেমন নিষ্পাপ ভাবে ঘুমিয়ে আছে৷ খুব শক্ত করে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। শেষ কবে ওকে জড়িয়ে ধরেছি মনে নেই। ওর মুখের কাছে মুখ নিয়ে বলতে লাগলাম
-- তুমি বলতে না তুমি আমাকে ছাড় থাকতে পারো না তাহলে আজ থেকে কি করে থাকবে? জানো কাল রাতে আমি তোমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারিনি গায়ের উপর এই বস্তাটা না থাকলে আমার ঘুম আসে না। কে আমাকে রোজ পছন্দের খাবার রান্না করে দিবে বলো? কে আমাকে এতোটা আগলে রাখবে? আমি তোমাকে আর কষ্ট দিবো না। এই দেখো তোমাকে জড়িয়ে ধরে কথা দিচ্ছে আমি আর কথার খেলাপ করবোনা৷ তুমি জানো কাল রাতে আমি তোমা কে ছাড়া কেমন ছিলাম। ভাতও খেতে পারিনি! তুমি আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিবে না? এইবার আর বলবো না তুমি বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলতে চাও। বলো না প্লিজ। আমার খুব ক্ষধা লেগেছে কাল রাতে খাইনি জানো। তোমার কলিজা স্বামী টা না খেয়ে আছে আর তুমি নিশ্চিত ভাবে কি করে ঘুমিয়ে আছো?
আগে প্রতিরাতে আমার বুক ওর চোখের পানিতে ভিজে যেতো আমি কিছু বলতাম না। ওর চোখ মুছিয়ে দিতাম না। আজ আমার চোখের পানিতে ওর বুক ভিজে যাচ্ছে কিন্তু ও চুপ করে ঘুমিয়ে আছে। আজ আমার সত্যি কারের ভালো বাসার মানুষটা কে হারালম। আমি নিজেকে কোন দিন মাপ করতে পারবো না। এটা যেনো ও
সত্যিই আমি ওকে আর ফিরে পাবো না।
রোহান আবির
কপি করলে লেখকের নাম দিতে হবে আর না দিলে আপনি চোর 😒🤨
'"""""",,,,,সমাপ্ত, """"""""
এই জন্যই সময় থাকতেই ভালোবাসার মানুষকে আগলে রাখতে হয়😢
ভালো বাসার মানুষ টা থাকতে। অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়াবেন না। এতে দুই জনের ই সমস্যা হবে 🙂
এতো দূরে যখন এসেছেন তা হলে
ছোট করে একটা কমেন্ট তো করা ই যায়। যদি ভালো লাগে 🙂


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

♥নগর বাউল জেমস্ (গুরু)-র সকল গানের তালিকা James All Songs List

 ♥নগর বাউল জেমস্ (গুরু)-র সকল গানের তালিকা:   প্রথম অ্যালবাম: স্টেশন রোড  ১. স্টেশন রোড  ২. ঝর্না থেকে নদী  ৩. একদিন ছিল উচ্ছ্বল নদী  ৪. আমায় যেতে দাও  ৫. আগের জনমে  ৬. আর নয় যুদ্ধ  ৭. যদি এমন হতো  ৮. সত্যের সুন্দর  ৯. দুঃখ কেন করো   দ্বিতীয় অ্যালবাম: অনন্যা  ১.রিকশাওয়ালা  ২. ফেরারি  ৩. দুরন্ত মেয়ে  ৪. অনন্যা  ৫. রংবাজ  ৬. রাজনীতি  ৭. পলাতক  ৮. রাতের ট্রেন  ৯. হৃদয়ের দাবিতে  ১০. টেলিফোন  ১১. তুমি জান   তৃতীয় অ্যালবাম: জেল থেকে বলছি  ১. জেল থেকে বলছি  ২. নীল আকাশ  ৩. ইচ্ছের পালক  ৪. ভাবনা  ৫. জোসি প্রেম  ৬. আমার ভালবাসা  ৭. হৃদয়ের একলা প্রান্তরে  ৮. পেশাদার খুনি  ৯. ঝড়ের রাতে  ১০. ঢাকার প্রেম  ১১. তোমাকে খুঁজি  ১২. প্রাণের শহর   চতুর্থ অ্যালবাম: পালাবে কোথায়  ১. পালাবে কোথায়  ২. প্রিয় আকাশি  ৩. নাযায়েজ  ৪. পূর্ণিমা নৃত্য  ৫. হেরেমের বন্দিনী  ৬....
  জিনিসপত্রের দাম কেনো বাড়ছে জানতে চান? আসুন একটু জেনে নেয়া যাক....মুদ্রাস্ফীতির সাথে খেলাপী ঋণ ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। প্রথেমেই বুঝতে হবে মুদ্রাস্ফীতি জিনিস টা আসলে কি? খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। মুদ্রাস্ফীতিঃ কোন দেশে সর্বোপরি যতটুকু সম্পদ আছে তার মূল্য ওই দেশের বর্তমানের মোট মুদ্রামাণের(টাকা) সমান। মনে করুন, বাংলাদেশে সর্বমোট ১৫ টাকা আছে এবং এই দেশের সম্পদ বলতে সাকুল্যে আছে ৫ টি কমলা। আর কিছুই নেই। যেহেতু দেশের মোট সম্পদের মূল্য মোট মুদ্রামানের সমান, সেহেতু এই ৫ টি কমলার মূল্য ১৫ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি কমলার মূল্য ৩ টাকা। এখন যদি আরো ৫ টাকা ছাপানো হয়, তাহলে মোট মুদ্রামান হয়ে যাবে ১৫+৫ = ২০ টাকা। কমলা কিন্তু বাড়েনি। তারমানে এখন[নতুন করে ৫ টাকা ছাপানোর পর] ৫ টি কমলার মোট মূল্য হয়ে গেল ২০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি কমলার বর্তমান মূল্য ৪ টাকা। এই যে সম্পদ না বাড়িয়ে অতিরিক্ত টাকা ছাপানোর ফলে কমলার দাম ৩ টাকা থেকে ৪ টাকা হয়ে গেল, এইটাই সহজ ভাষায় "মুদ্রাস্ফীতি"। একই পণ্য আগের থেকে বেশি দামে ক্রয় করা মানেই মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। অর্থাৎ, আমরা বলতে পারি "কোন দেশের সম্পদের পরিমাণ ...

বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত.pdf

বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত.pdf To download this pdf simply follow instructions if not then use vpn to open MediaFire. Some isp just blocked this website mistakenly. Author: Jsny